ব্রাত্য রাইসু কী জিনিস?

কোনো ছাপাখানায় ছাপা হইতেছে না, কলম দিয়া লেখা হইতেছে না, কিন্তু দমে দমে প্রকৃতিতে লেখা হইতে থাকতেছে একটা বই, এমন এক বই, পৃষ্ঠা সংখ্যা উল্টাইতে থাকলে কেবল আসতেই থাকে, শেষ হয় না, নানা রঙের পৃষ্ঠা, রাত্রির মতো, দিনের মতো, পাহাড় ও নদীর মতো পৃষ্ঠা, অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের মতো, নারী পুরুষের আন্তরিক ঝগড়ার মতো পৃষ্ঠার বইটার নাম ব্রাত্য রাইসু; একটি জিন্দামানুষবই। কাগজের পাতার বই না, ইলেক্ট্রনিক বই না, ন্যাচারাল বায়োবুক বলা যায় হয়ত, যে-বইয়ের দেহ আছে, মন আছে, মাথা আছে, চোখ মুখ হাত পা পেট পিঠ ত আছেই। সব মানুষই জিন্দাবই।

আর এই রাইসুবই, অন্য সব মানুষবই পড়াপড়ির মতন, মানুষ পশু পাখি কীট পতঙ্গ, জল ধূলা মেঘ, অরণ্য শহর বন্দর, বিদ্যুৎবাতি দালান চেয়ার টেবিল, জানালা দরজা বিছানা বালিশ, আসমান জমিন, ছয় ঋতু বার মাস সবাই পড়তেছে, পড়তেছে প্রতি ইউক্টো সেকেন্ড, পড়তেছে ননস্টপ ব্রাত্য রাইসু-কিতাব। তাকে সত্যবাদী মিথ্যাবাদী পড়ে, সব রাজনৈতিক দলের লোক পড়ে, যে পড়তে চায় না সেও পড়ে ফেলতেছে—ডাইরেক্টলি, ইনডাইরেক্টলি।

সারওয়ার চৌধুরী

এই বই, এমন এক বিস্ময়কর বায়োবই, যে-বই নিজেও পড়তেছে।

কী পড়তেছে?

নেচার পড়তেছে। যেমন আমরা বাঁশঝাড় পাখি পড়ি, তারাও আমাদেরকে পড়ে। রাইসু কখনও না-পড়েও পড়ে ফেলতেছে দিবানিশি শত্রুমিত্র উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম উপর নিচ সমান তালে। তার পড়ার একটা মজাদার টেকনিক হইল, ধাম কইরা একটা স্ট্যাটাস—আপসাইড ডাউন টাইপের, কিংবা ননসেন্সিক্যাল হিউমার, ব্যস, এবার ধুমছে আসতে থাকছে প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক নেতিবাচক। এইসব প্রতিক্রিয়া পাঠ করতেছেন ব্রাত্য রাইসু। ভাষার ভিতরে, ভাবের ভিতরে, চিন্তার ভিতরে, মানুষ কেমনে-কেমনে ভাসে আর ডুবে, সেইটা দেখে ফেলতেছে। দেখতেছে ভাঁড়ের চোখে, কবির চোখে, কথাশিল্পী ও চিত্রশিল্পীর চোখে, দার্শনিকের চোখে (প্রত্যেক মানুষের মাঝে নানা লেবেলের দার্শনিক চোখ থাকে)।

মানুষের সমাজে, দেশে ও বিদেশে বহু জাতের মানুষের সাথে উঠাবসা লেনদেন কইরা দেইখা আসতেছি, বেশিরভাগ মানুষের বিবেচনা এইরকম যে—”আমার স্বার্থে আমার পক্ষে না থাকলে দূরে গিয়া মরো।” এই রকম বিবেচনার মানুষেরা কোনো ঘটনাকেও ভাল কইরা বুঝতে পারে না। মানে, বেশিরভাগ মানুষ পক্ষপাতদুষ্ট থাইকা, নিজের মতলবে নাচানাচি কইরা, নিজেরে সঠিক পথে রাখতে পারছে বইলা মনে করতেছে। এই রকম বিবেচনার সমাজের মানুষ ব্রাত্য রাইসুকে বুঝতে পারার কথা না।

রাইসু ত তার বুদ্ধিজীবিতা নিয়া সবার পক্ষে আছেন আবার কারো পক্ষে নাই থাকার মইধ্যে থাকতেছেন। ওরা ভাবে এইটা সুবিধাবাদী পজিশন। আসলে মনে হয়, এই রকম থাকা এক হিসাবে ‘ন্যাচারাল স্টেইট’-এ থাকা। একজন বুদ্ধিজীবী এই রকম অবস্থানে থাইকাই তার দেশ-সমাজ-সংস্কৃতি বোঝেন এবং তার মইধ্যে তৈরি হওয়া ধারণাসমূহের মাধ্যমে প্রভাবিত করতে পারেন। ধারণাসমূহ খুঁতশূন্য কী না সেইটা নিয়া যে তর্ক চলতে পারে, বা এক পরিপ্রেক্ষিতে যা ঠিক, অন্য পরিপ্রেক্ষিতে তা বেঠিক যে হইতে পারে, সেইটা বুদ্ধিজীবীর মাথায় থাকে, রাইসুর মাথায়ও আছে বইলা মনে হয়। তার প্রধান ফাইট একদিন বলছিলেন ফেইসবুকে—কেউ নিজের নৈতিক বিবেচনা অন্যের উপর চাপাইয়া দেয়ার বিরুদ্ধে থাকেন উনি।

আমরা দেখি, জগতে প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা কনশাস লেবেল থাকে। ফলে উপলব্ধির ভিন্নতা থাকবেই, কাজের ভিন্নতা থাকবেই। প্রাণিজগতে প্রত্যেকের ইননেইট নেচার আছে। শাসন কইরা, হত্যা কইরা হাজার হাজার বছর ধইরা কচ্ছপ ও বৃশ্চিক নেচারের জনম লওয়া আটকানো যায় নাই।

হেরাক্লিটাসের যুগেও দূর্বাঘাস ছিল, এখনও আছে। রূপ বদল হইলেও স্বভাববৈচিত্র, রঙবৈচিত্র থাকাটাই প্রাকৃতিক। এই প্রকৃতিতে লড়াইয়ের মইধ্যে বিস্ময়কর স্ববিরোধ থাকতেছে। ব্রাত্য রাইসুর মাঝেও স্ববিরোধ থাকতেছে। ওয়াল্ট হুইটম্যান তার ‘সঙ অব মাইসেল্ফ’-এ বলছিলেন—”ডু আই কন্ট্রাডিক্ট মাইসেলফ? ইয়েস আই ডু।”

মানুষের জীবদেহটিও ত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্ববিরোধ চর্চা করতে করতে পরে দপ কইরা ইতি হয়। সেইটা কী রকম? খুব সচেতনভাবেও মানুষ প্রতিদিন যা খায়, যে পরিবেশে থাকে, তাতে তার শরীরের জন্যে উপকারি অপকারি দুইই পাইতেছে, গ্রহণ করতেছে বৈপরীত্য, সে নিতে বাধ্য হইতেছে বলা যায়। চিনি শক্তি দেয়, চিনি ওজন বাড়ায়, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায়। একটা কাটাকুটি হিসাব জারি থাকতেছে—একটা প্লাস মায়নাস হইতে থাকছেই বলা যায় আমাদের স্বাভাবিক খাবারে। বেশি লাভ বেশি ক্ষতির মইধ্যে পড়লে বায়োমেকানিজম সংকটে পড়তেছে।

আর যে কোনো আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই কি একজন মানুষ নীতিহীন হয়? হয় না। কারণ, নিজের নীতি অন্যের অন্য লেবেলের সচেতনতার উপর চাপাইয়া দেয়ার জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হইতেছে আরেকটা নৈতিক অবস্থান। এই অবস্থান রাইসু নেন, নেন বইলাই উনি নীতিবানও। তার বান্ধবী নাদিয়া ইসলাম লেখেন, “উনি আদর্শবাদ সহ সকল বাদের সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াও একজন আদর্শবাদী নীতিবান মানুষ।” আবার ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জগতে কোথাও অনড় থাকতেছেন না যে সেইটাও দেখা যায়।

ব্রাত্য রাইসুর সাথে আমার এখনও সরাসরি দেখা-সাক্ষাৎ হয় নাই। বয়সের হিসাবে দেখলাম, আমার দুই বছরের ছোট উনি। নব্বইয়ের গোড়ার দিকে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর ব্রাত্য রাইসু বিরচিত ‘যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক’ শীর্ষক উপন্যাস ধারাবাহিক আসতেছিল। তখন থাইকা না, আরো দুই বছর আগে থাইকা হয়ত তার লেখালেখি দেইখা, জানছিলাম ব্রাত্য রাইসু নামে একজন লেখক আছেন ঢাকায়।

পরে ব্লগে ও অনলাইন মিডিয়ায় তার নানা রচনা পড়ি। তার আলাদা ভাষা আছে দেখলাম। এবং এইটাও দেখলাম, বাংলাদেশভিত্তিক একটা বাংলা ভাষা, যে-ভাষা কথায় ও লেখায় সরস হইয়া আসতে পারে সেই প্রয়াস তিনি চালাইয়া আসতেছেন। এইটা এমন এক সময়খণ্ডে তিনি করতেছেন, যে-সময়খণ্ডে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের ছায়ায় জনম নেয়া সুতানটিভিত্তিক বাংলা চলিত ভাষা পশ্চিমবঙ্গে হিন্দির প্রভাবে অন্যরকম রসকষহীন রূপ নিতে লাগছে। আর এইটা একই সাথে প্রমিত ভাষার এলিটিজমের বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়া যাওয়া। এই কাজের দ্বারা ব্রাত্য রাইসু তার সমসাময়িক লেখকগোষ্ঠীর একাংশকে প্রভাবিত করতে পারছেন। এই ব্যাপারে তার চিন্তাটা হইল, “আমি এক্সপ্রেশনের অধিকারের মধ্য দিয়া আগাইছি, যেন সব ধরনের ভাষাই চলতে পারে। প্রমিত রীতিও চলতে পারে এর শাসনের উচ্চম্মন্যতা বাদ দিয়া।”

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে একবার ‘প্রমিতের পরিমিতি’ শীর্ষক টক শো-তে রাইসু সাফ বলেছেন, “প্রমিত হইল বিকৃতি। স্বাভাবিক না” কারণ ব্যাখ্যা কইরা বলছেন, এইটা ত স্বাভাবিক এক্সপ্রেশন থাইকা আসে না, এইটা বানানো হইছে।

ভাষার ভিতরে রদবদল হয়ই। আঠারো শতকের বাংলা ভাষার মাস্টারি এখন চলবে না। সামনের দিকে—দুই শ বছর বাদে, বর্তমান বাংলা প্রমিত রূপটি থাকবে না শিউর অ্যান্ড সারটেইন বলা যায়।

এই যুগের কোনো প্রতিষ্ঠিত ভাষা দুই চার হাজার বছর পরে পাওয়া যাইবার গ্যারান্টি নাই। বর্তমানে বাইশটা দেশে আরবি ভাষা প্রতিষ্ঠিত। অথচ ইয়েমেন থাইকা ধইরা ইরাক সিরিয়াসহ মিশর পর্যন্ত বিশাল এই অঞ্চলে অনেক আগে আরামায়িক ভাষা ছিল প্রতিষ্ঠিত লিংগুয়া ফ্রাংকা। তখন হয়ত জাজিরাতুল আরবের কোনো ট্রাইব প্রাচীন টাইপের আরবিতে কথা বলতো। এখন সিরিয়ায় একটা ট্রাইবের কাছে সীমিত হইয়া আছে আরামায়িক ভাষা। ভাষা-সংস্কৃতির দৌড়াদৌড়ি এই রকমই।

ব্রাত্য রাইসু অনেক বিষয়ই খোলামেলা বইলা দেন। সোশাল মিডিয়া ফেইসবুকে তার বান্ধবীরা তাকে অপেন ফোরামে ধুম কইরা বইলা ফালায় “আই লাভ ইউ রাইসু।” ঘটনা কী? রাইসু যৌনসংসর্গের লিপ্সায় টিনএইজ মেয়ে পটান? নাহ্ সেইরকম কিছু না। ইনবক্সে জিগাইছিলাম। জানাইলেন, “মেয়েদেরকে আমি ওইভাবে পটাই না, ওনারাই আমারে পটান, তাদের সবার সঙ্গে আমি যাই না।” দেখলাম, জবাবটা ইন্সট্যান্টলি দিছেন রসালো কইরা।

মানে, ব্রাট্রান্ড রাসেলের মতো যৌনসংসর্গের লিপ্সায় নারী পটানোর ধান্দাতে নাই রাইসু। রাসেল ত পরের বউ পটাইত। কবি টি এস এলিয়টের বউ মানসিক রোগাক্রান্ত ভিভিয়েনের সাথেও শুইছে রাসেল।

দেখা যায়, অনেক কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী দার্শনিকদের জীবনের একটা অধ্যায়ে নারীর সাথে বিশেষ সম্পর্কের ব্যাপারটা থাকছে। এই থাকার মইধ্যে শাদা কালোর মিশ্রণ আছে। সেইটা বাঁশি বাজবার একটা উপলক্ষও হইতে পারে। নজরুল রবীন্দ্রনাথের জীবনে কেবল না, ধার্মিক দার্শনিক কবি ইকবালও তার জার্মান প্রেমিকার উদ্দেশ্যে সাগরপারে বসে লেখছিলেন, “ইস তনহাই মে মুঝে রাহাত দেতি হ্যায় হাওয়া জিস্ নে তোমহারি জিছিম চুম কার আয়ি হ্যায়।”

সহস্র সংকটে ভরা এই জগতে দরদ চর্চার জন্যে যেই প্রেমের অনুভূতি, সেই অনুভূতির কার্যকারণ পরিপ্রেক্ষণ যা-ই থাক, এইটা যেই সৃজনের ইন্সপায়ার করে, সেই সৃজন বিস্ময়কর হইয়া আসতেছে না? মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ বা রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ কেউ পছন্দ না করলেও, ভালবাসাবোধ এইভাবেও যে ফুটতেছে, এইটা, মানে এইটা নানা রূপে ত ফুটতে থাকছেই।

সুতরাং যে কোনো আদর্শের বাক্সে ভইরা ফেনোমেননগুলারে বাতিল করলেই প্রকৃতি থাইকা বাতিল হইতেছে না। কেউ চোখ বন্ধ করলেই বাতিগুলো অফ হয় না, সূর্যালোক বা জোছনা নিভা যায় না। হিসাব অত সোজা না। লবণাক্ত পানি থাইকা মাছ তুইলা লবণ দিয়া রান্না কইরা খাইতে হয়। কারণ লবণাক্ত পানির মাছ লবণাক্ত না।

আগে সামহোয়ারইনব্লগে দেখছি, ফেইসবুকে দেখতেছি, রাইসুর পঞ্চাশতম জন্মদিন উপলক্ষে তার পক্ষে-বিপক্ষে লেখা দেখছি; যারা রাইসুর নিন্দা করেন তারা খুব সমৃদ্ধ চিন্তাসহ কথা বলতে পারেন নাই। যারা তাকে ভালবাসেন তারা বেশ শক্তপোক্ত বিশ্লেষণসহ কথা বলেন। রাইসু দেশের ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করেন না। দল করলেই যে রাজনীতি করা হইয়া যায় না সেইটা সাফ বইলা দেন ব্রাত্য রাইসু।

“দল করা মানে রাজনীতি করা নয়। সে আপনি বামই করেন আর হেফাজত। দল কিংবা সিংহাসনের বাইরে সাংস্কৃতিক বদল ঘটানোই হচ্ছে আসল রাজনীতি। সে বদল দল-রাজনীতি কিংবা সরকার বিরোধিতার মাধ্যমে আসবে না।”

ব্রাত্য রাইসু, এই জিন্দাবইয়ের উপর কথা বলা শেষ করা যাবে না, কারণ পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশুমার। উনি ডেসপারেইটলি জানিয়ে দেন উনি ‘পশুর মতো স্বাভাবিক’। তাৎপর্যপূর্ণ কথা। গাধাকে যারা মিসকনসেপশন খাইয়া বেআক্কেল ভাবেন, তারা রাইসুর এই কথা বুঝবেন না। গাধা ত আসলে খুব স্টাববর্ন এবং হাইলি ইন্টেলিজেন্ট প্রাণী। আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতীক গাধা তারা বুইঝাসুইঝাই বানাইছে। তবে রাইসু এর ঠিক উল্টা কথাও অন্য কোথাও বলে থাকতে পারেন।  দুই ধরনের ঠিক হওয়া যে সঠিক হইতে পারে, এইটা দেখবার বিশেষ জায়গা আছে, ঐ জায়গায় যাইতে অন্তর্দৃষ্টি থাকা লাগে। তাইলেই দেখা যায় চমৎকার কিছু। নইলে গাধাকে ‘গাধা’ বুঝবার মিসকনসেপশনের ভিতরে থাকা লাগবে।

রাইসু ভাঁড়ামি করেন, এর মানে কী?

তারই জবাব—“ভাঁড় হাস্যরস নিয়া কাজ করে না, সে করুণ রসরে হাস্যরস হিসাবে খাওয়ায়, আপনাদের।”

করুণ রসরে হাস্যরসে তবদিল করতে পারে কয় জনে? রাইসু পারেন। তাই ব্রাত্য রাইসু ইজ ব্রাত্য রাইসু। তাই হয়ত ঢাকা শহরে অভাব-অনটনে থাকা সত্ত্বেও অতুলনীয় অনমনীয় অনির্ণেয় কিন্তু স্বাভাবিক রাইসুর কবিতা ও চিত্রকলা নতুন ধরনের ইনফেকশাস শিল্প হয়, রঙেরসে কমিউনিকেইট করে, জ্বালায় উস্কায়, সৃজনশীল বানায়।

পঞ্চাশতম জন্মদিনে বিচিত্র কর্মবীর ব্রাত্য রাইসুর জন্যে অনেক অনেক আন্তরিক শুভ কামনা।

3 Comments

Add Yours →

Bratya Raisu k niye likhesen…tobe ai lekha pore bibidho goon somponno BR k jmn jana jasse temni nijekeo sommriddho kora jasse!..
…’হিসাব অত সোজা না। লবণাক্ত পানি থাইকা মাছ তুইলা লবণ দিয়া রান্না কইরা খাইতে হয়’…..
khub valo laglo..

পড়া ও মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ জলি খাতুন।

Leave a Reply