নদীমধ্যে গুরুসঙ্গ: আ জার্নি বাই বোট (২০)

এই বেলা অনেক ডিস্টার্ব হইল
জলে স্থলে নিরানন্দ
আকাশে বাতাসে নাহি গান
এভাবে বাঁচবার কোনো দরকার আছে কি
গুরু
যদি মনের ইচ্ছা
নদীর এ স্বচ্ছ জলে দাগ না কাটিল
এই বেলা
গুরু তবে জলে ঝাঁপ দেই?—বলিলা কর্তব্যরতা
আনন্দশায়িনী এক
গুরুর নৌকার।

গুরু কয়, কয় কী কয় কী!
জল, স্থল, নিরানন্দ, আকাশ, বাতাস, গান
এ তো দেখি মহিলা কবিটি—
এ মাগীর কাম
সাপ্রেসড হইয়াই আছে
এরে চোদা  দাও!

তখন সে ইচ্ছায়িনী, শরীরিনী, নিরানন্দটিনী
বলল, গুরু সত্য সত্য আমাকে করবেন?
কিন্তু আমার তো আপনার এই পাপের নৌকায়
শরীরের অভাব ঘটে না—
আমি দিবারাত্র উপর-নিচ করতেই থাকতেছি
আপনার নায়ের সব সারেং, কাপ্তেন,
খালাসি, ডুবুরি, মাল্লা সকল খান্নাছ
সহিবার ভার
এ আমার ছোট্ট দেহ ধারণ করেছে,
আজো আমি রাত্রিবেলা
ঘুমাবার কালে
জাহাজের রান্নাঘর সংলগ্ন সিঁড়িতে
দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে আমি আজই তো করলাম
প্রাইভেসিতে শ্রদ্ধার মানবিক কারণে আমি সে পুরুষাঙ্গের
মালিকের নামটি বলছি না।
কিন্তু গুরু, বিশ্বাস করেন
এত জাপটাজাপটি
সাপটাসাপটি, লেপাটালেপটি, গমনাগমন
এতে কোনো আনন্দ ঘটে না
করলেন কি করলেন না দিয়া
বস্তুত শরীরের চোদা খাওয়া দিয়া গুরু মনের ইচ্ছার
প্রভাবনা পরিবেশে আদৌ পড়ে না
আদৌ সঞ্চার হয় না সকালের সূর্যের আনন্দ কিংবা শিশুর সারল্য অর
যেমতি সাঁঝের কালে দূর দিয়া পাখির উড়াল
আমারে কী জানি দেয়
সে সমস্ত এই খানে চিরতরে হ্যাং হইয়া আছে;
ঘাটে বান্ধা জাহাজের দুলুনিতে আমার চিত্তে কোনো দোলা তো লাগে না—
খানিক ঘুম পায়, ভাবি ঘুম ঘুম ভাবের মধ্যে
জাহাজে ঘুরতে আছি
গুরু আমি জাগনা না ঘুমাইন্না?

২৭/৩/২০১৫

Leave a Reply